জীবনের খোঁজে জীবন যখন মনুষ্যত্ব এর যাত্রা শুরু করে।
জীবনের বড় সফলতা হলো মনুষ্যত্ব এর ধারক হওয়া।
যে জীবনে খোঁজ থাকে সেই জীবনটা মনুষ্যত্ব যাএা শুরু হয় | মানুষ যখন শাস্ত্র বিদ্যা অক্ষর দিকে মনুষ্যত্ব অনুসন্ধান করে তখন থেকে এক 'মন-যোগ-সত্য' খুজতে থাকে | আবার কারুর যখন জীবনের মহত্তর কর্মজ্ঞানের মধ্যে দিয়ে সত্যকে তথা জীবনের কেন্দ্রকে খুঁজেছে তখন ভাষা , শব্দ চয়ন , সুর , সংগীত , দর্শন , ধর্মযোগ এবং আরও অনেক কিছু খুঁজছে | তবে জীবন কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে সেটা অনুসন্ধান করে মনুষ্যত্বর মানুষ | সেই মনুষ্যত্ব মানুষ প্রকাশিত জীবনকে খুঁজতে গিয়ে নানা রকম পথের উদ্ভাবন হয়েছে |
প্রত্যেকে মনুষ্যত্ব এক একটি আকার।
বলা বাহুল্য আজও মানব সভ্যতা নানাভাবে মনুষ্যত্ব পথ উদ্ভাবন করার চেষ্টা করে চলেছে | তাই প্রত্যেকে মনুষ্যত্ব এক একটি আকার | এই আকারে ব্যাপারে মানুষ যা জানে অথবা যতটুকু জানে সে জানাটাও ক্ষুদ্র জানা হতে পারে | জানবার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না | মানুষ যতটা জানে সে জানার ভেতর কতটা সত্য তা জানতে প্রচুর অনুসন্ধান করতে হয় , অনেক জায়গায় সফরে যেতে হবে | কেবল পুস্তক কিতাবের অথবা Facebook . YouTube ওপর নির্ভর করে মনুষ্যত্বকে জানা তথা যাচাই করা যায় না | তথাপি গ্রন্থগত বিদ্যা অার পর হস্তে ধন দিয়ে জানা যাবেনা | এর জন্য মানুষের সঙ্গ এবং অনুসন্ধানের প্রয়োজন |
অর্থাৎ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে অনুসন্ধান তথা সফর করতে হবে , যেতে হবে , ঘুরতে হবে জনে জনে , গর্তের ভেতর থেকে সঠিকটি সত্যটি জানা যায় না | সত্যটি জানা , সত্য পর্যন্ত যাওয়া খুব সহজ নয় , খুবই কঠিন | তাই ওরা যখন আঘাত দিয়েছে , ওদের মতো আমরাও আঘাত দেব , এ'কর্মে শেষ নেই , এটাই প্রতিহিংসা | প্রতিহিংসায় কর্ম করে কল্যাণ হয় না | কল্যাণ হয় তখনি পরস্পরকে আঘাত দেওয়ার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসে , তখনি মনুষ্যত্ব পথে পৌঁছানো যাবে | সুতরাং মানব জীবনের সব থেকে বড় কুসংস্কার হল মনুষ্যত্বহীনতা।
বাবুল কামলা

Comments
Post a Comment